আমরা ভারতে রেজিস্ট্রিকৃত একটি অরাজনৈতিক বেসরকারী সংগঠন, সমগ্র বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙ্গালী সংগঠনগুলোকে একসূত্রে বাঁধার কাজ করি (Uber of Bengali Associations)। বাঙ্গালী সংগঠনগুলো যেমন স্বাধীনভাবেই কাজ করছিল, তেমনই করবে, আমরা তাদের উপর খবরদারি করি না, আমরা মূলত সবাইকে নিয়ে একটি একক বঙ্গীয় সমাজ গঠন করতে চাইছি, যেখানে সবাই আলাদা আলাদা দ্বীপের মতো না থেকে, সমষ্টিগতভাবে সমাজসেবা করবে। যদি আমেরিকান বঙ্গীয় সমাজ চায় যে, ভারতের দণ্ডকারাণ্যে বা বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অসহায় বাঙ্গালীদের জন্য কোনো সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম চালু করবে, তবে আমরা আমেরিকান বঙ্গীয় সমাজের সঙ্গে দণ্ডকারাণ্য/ চট্টগ্রাম বঙ্গীয় সমাজের মেলবন্ধন ঘটিয়ে দিই। আর আমরা প্রয়োজনীয় নজরদারি এবং অডিটের মাধ্যমে এই নিশ্চয়তা দিই যাতে উন্নয়নমূলক প্রোগ্রামগুলো সুসম্পর্ন হয় এবং প্রোগ্রামের লক্ষ্যপূরন হয়।
আমাদের মিশন হচ্ছে এমন একটি পৃথিবী তৈরি করা যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি সুস্থ, এবং উৎপাদনশীল জীবন যাপন করতে পারবে। স্বাস্থ্যসেবা, বয়স্কদের যত্ন, শিক্ষা, গ্রামীণ জীবিকা, সবুজ শক্তি, আতিথেয়তা, কৃষি, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, শাসন, ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প এবং মানুষের ক্ষমতায়নকে উৎসাহিত করা হয়। নিরাপদ কাজ/ সার্ভিস তৈরি করে মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় ট্রাস্ট, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ইনভেস্টারদের সঙ্গে যৌথভাবে ফ্রাঞ্চাইচি মডেল তৈরী করে বানিজ্যিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়। দান খয়রাত করে কারো উপকার করার চেষ্টা হয় না। একমাত্র অসহায় ছাড়া বিনামূল্যে কোনো সার্ভিস দেওয়া হয় না। প্রতিটি ইউনিট আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ন রাখার চেষ্টা করা হয়। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী হয় - এমন প্রজেক্ট চালু করা হয় না। যারা উপকার নেন, তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। যারা সিদ্ধান্ত নেন, তারা উপকার নিতে পারেন না।
যেসবপাবলিক/ দেবোত্তর সম্পত্তি অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে ইনভেস্টমেন্টের অভাবে, সেগুলো লিজ নিয়ে তাতে ইনভেস্ট করে আধুনিক টেকনোলজি এবং পরিচালনার মাধ্যমে আয় বাড়িয়ে স্থানীয় বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। স্থানীয় ট্রাস্ট, স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ইনভেস্টারদের সঙ্গে যৌথভাবে ফ্র্যানচাইছি মডেল তৈরী করে বানিজ্যিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা। আমরা সবার যোগসূত্র এবং গ্যারান্টার হিসাবে কাজ করব, প্রয়োজনীয় টেকনোলজি এবং লজিস্টিক দিয়ে সাহায্য করব। সারা বিশ্ব জুড়ে একই ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং এবং পরিচালনা করব আমরা।
“যদি কেউ দর্শনের একটা সূত্রও না পাঠ করে, যদি সে ঈশ্বরের অস্তিত্বেই না বিশ্বাস করে, এবং যদি সারা জীবনে একবারও ঈশ্বরের আরাধনা না করে, তবু শুভ কর্মসমূহের সরলক্ষমতা তাকে সেই অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে যেখানে পরের জন্য সে তার জীবন ও অন্য সব কিছুই উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হবে । এক্ষেত্রে একজন ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি তার আরাধনার মাধ্যমে আর একজন দার্শনিক তার জ্ঞানের জন্য যে বিন্দুতে পৌঁছবে সেও সেই বিন্দুতেই পৌঁছতে সক্ষম । সুতরাং তোমরা নিশ্চয় বুঝতে পারছ যে দার্শনিক, কর্মী ও ভক্ত সকলে একই বিন্দুতে মিলিত হয়; আর সেই বিন্দুই হচ্ছে আত্মোৎসর্গীকৃত হওয়া।” –স্বামী বিবেকানন্দ, কর্মযোগ, ৬.৮