• সংবিধান

আমরা ভারতে রেজিস্ট্রিকৃত একটি অরাজনৈতিক বেসরকারী সংগঠন, সমগ্র বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঙ্গালী সংগঠনগুলোকে একসূত্রে বাঁধার কাজ করি (Uber of Bengali Associations)।

মেম্বারশিপ

নতুন মেম্বার হতে গেলে বর্তমান একজন মেম্বার তাকে ইন্ট্রোডিউস করতে হবে। শুরুতে শুধু সুপ্রীম প্রেসিডেন্ট ১ জন ইন্ট্রোডিউসার হবেন, তিনি নতুন মেম্বার ইন্ট্রোডিউস করবেন, তারা আরো ইন্ট্রোডিউস করবেন — এভাবে মেম্বারশীপ বাড়বে। প্রতিটি মেম্বার এক এবং একমাত্র এক ইউনিটের মেম্বার হতে পারবেন। তারা এক ইউনিট থেকে অন্য ইউনিটে স্উপজেলান্তর হতে পারবেন, কোনো সুযোগ সুবিধা না হারিয়েই। যে যতো মেম্বার ইন্ট্রোডিউস করবে, তার তত ভোটিং পাওয়ার হবে। “ক” যদি ১০০ জন মেম্বার ইন্ট্রোডিউস করে, তার ভোটিং পাওয়ার ১০০+১ = ১০১ । “খ” যদি ১ জনও করতে পারে না, তার ভোটিং পাওয়ার ০ + ১ = ১ । কোনো ইলেকশানে “ক” যদি “চ” কে ভোট দেয় এবং “খ” যদি “ছ” কে ভোট দেয়, তাহলে “চ” (১০১—১ =) ১০০ ভোটে জয়ী হবে। ভোটিং ওয়েট উত্তোরিধিকার সূত্রে বাড়বে। “ক” যদি ১০০ জন মেম্বার ইন্ট্রোডিউস করে, সেই ১০০ জন যদি আরো ১০০০ জন মেম্বার ইন্ট্রোডিউস করে, তাহলে “ক” এর ভোটিং পাওয়ার হবে ১১০১ (১+১০০+১০০০)।

৩ প্রকারের মেম্বার

১) বন্ধুঃ কমিউনিটি শুভাকাঙ্কী, যাকে বর্তমান মেম্বার ইন্ট্রোডিউস করবে। মেম্বারশিপ ফি দিতে হবে না। তারা ভোট দিতে পারবেন না। তারা ইলেকশানে দাড়াতে পারবেন না। তারা কোনো বেনিফিট নিতে পারবেন না।

২) বেনিফিশারিঃ যাদের মেম্বারশিপ ফি দিতে হবে। তারা ভোট দিতে পারবেন। তারা ইলেকশানে দাড়াতে পারবেন না। একমাত্র তারাই বেনিফিট নিতে পারবেন।

৩) ভলান্টিয়ারঃ যাদের মেম্বারশিপ ফি দিতে হবে। তারা ভোট দিতে পারবেন। একমাত্র তারাই ইলেকশানে দাড়াতে পারবেন। তারা কোনো বেনিফিট নিতে পারবেন না।

মেম্বারশিপ প্রসেস

বর্তমান মেম্বার নতুন ইচ্ছুক ব্যক্তির নাম এবং মোবাইল নম্বর (সম্ভব হলে ইমেইল) জোগাড় করবে এবং “বন্ধু” হিসাবে সিস্টেমে লিপিবদ্ধ করবে। এবং নিজেকে ইন্ট্রোডিউসার হিসাবে। সেই ‘বন্ধুর’ যদি সাহায্য দরকার হয়, ইউনিট কমিটি তাকে ‘বেনিফিশারি’ হিসাবে লিপিবদ্ধ করবে। নাহলে ইউনিট কমিটি নানাভাবে সেই ‘বন্ধুকে’ উদ্বুদ্ধ করবে ‘ভলান্টিয়ার’ হবার জন্য। ভলান্টিয়ার হতে গেলে অন্তত ১০ জন “বন্ধু” ইন্ট্রোডিউস করতে হবে। ভলান্টিয়ার অন্তত ১ বছরের বেশী ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করলে ইলেকশানে দাড়াতে পারবে বা নির্বাহী কমিটির মেম্বার হতে পারবে। প্রতিবছর দূর্গাপুজার সময় (অক্টোবর / নভেম্বরে) পরের বছরের জন্য মেম্বারশিপ পূনর্বায়ন করা হবে। এবং এক মেম্বারশিপ থেকে অন্যতে পরিবর্তন করা যাবে (যেমন বেনিফিশিয়ারি থেকে ভলান্টিয়ার বা উল্টোটা) বা এক ইউনিট থেকে অন্য ইউনিটে যাওয়া যাবে।

বাৎসরিক নির্বাচন

প্রতিবছর ডিসেম্বরের ১ম সাপ্তাহে ইউনিট প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। ঐ ইউনিটের সব ভলান্টিয়ার এবং বেনিফিশিয়ারি ভোট দিতে পারবেন। একেকজনের ভোট তার ভোটিং পাওয়ারের সমান হবে। প্রতিবছর ডিসেম্বরের ২য় সাপ্তাহে জেলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। ঐ জেলা-এর অধীনে যত ইউনিট আছে, তাদের নবনির্বাচিত ইউনিট প্রেসিডেন্ট ভোট দিতে পারবেন। তাদের প্রত্যেকের ভোটিং ওয়েট হবে তার ইউনিটের মোট ভলান্টিয়ার এবং বেনিফিশিয়ারির সংখ্যা। প্রতিবছর ডিসেম্বরের ৩য় সাপ্তাহে রাজ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। ঐ রাজ্য-এর অধীনে যত জেলা আছে, তাদের নবনির্বাচিত জেলা প্রেসিডেন্ট ভোট দিতে পারবেন। তাদের প্রত্যেকের ভোটিং ওয়েট হবে তার জেলা-এর মোট ভলান্টিয়ার এবং বেনিফিশিয়ারির সংখ্যা। প্রতিবছর ডিসেম্বরের ৪র্থ সাপ্তাহে কান্ট্রি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। সব নবনির্বাচিত রাজ্য প্রেসিডেন্ট ভোট দিতে পারবেন। তাদের প্রত্যেকের ভোটিং ওয়েট হবে তার রাজ্য-এর মোট ভলান্টিয়ার এবং বেনিফিশিয়ারির সংখ্যা। বেশীরভাগ ভোট হবে অনলাইন সিস্টেমে।

৩ প্রকারের কমিটি

১) সুপ্রীম কমিটি মূল ট্রাস্টের ট্রাস্টিগন হবেন সুপ্রীম কমিটির সদস্য।

২) স্থায়ী কমিটি সুপ্রীম প্রেসিডেন্ট সদস্য নিয়োগ দেন। আর নির্বাহী কমিটির প্রধান পদাধিকার বলে এর সদস্য হন। সদস্যপদ আমৃত্যু।

৩) নির্বাহী কমিটি নির্বাহী প্রেসিডেন্ট প্রতিবছর নীচের লেভেলের কমিটির ভোটে নির্বাচিত হন একবছরের জন্য। নির্বাহী প্রেসিডেন্ট উপযুক্ত ভলান্টিয়ার থেকে সব কমিটি মেম্বার নিয়োগ দেন। মেয়াদ ১ বছরের।

কমিটি লেভেল

সুপ্রীম কমিটি

মূল ট্রাস্টের ট্রাস্টিগন হবেন সুপ্রীম কমিটির সদস্য। একজন হবেন সুপ্রীম প্রেসিডেন্ট, একজন সুপ্রীম ভাইস-প্রেসিডেন্ট। বাকীরা স্থায়ী সদস্য। সবার মেয়াদ আমৃত্যু। সংখ্যাগরিষ্ঠ ট্রাস্টিগন চাইলে কোনো সদস্যকে বহিস্কার করতে পারবেন বা নতুন সদস্য নিয়োগ দিতে পারবেন।

স্থায়ী কমিটি

বাংলাদেশ কান্ট্রি স্থায়ী কমিটি, প্রতিটি জেলায় একটি করে, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে, প্রতিটি সিটি করপোরেশন একটি করে এবং প্রতিটি ইউনিটে একটি করে স্থায়ী কমিটি থাকবে। প্রাথমিকভাবে সুপ্রীম প্রেসিডেন্ট ৫ জন সদস্য নিয়োগ দেন। সদস্যপদ আমৃত্যু। প্রতিবছর নতুন নির্বাহী কমিটির প্রধান পদাধিকার বলে এর আমৃত্যু সদস্য হন। কমিটির প্রধান হলেন সেক্রেটারি। প্রতিবছর সুপ্রীম কমিটি নিয়োগ দেন। এরা দৈনন্দিন কাজে অংশ নিতে পারেন না, সেটা নির্বাহী কমিটি করে। কিন্তু নির্বাহ কমিটির যে কোন সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারবেন দুই তৃতীয়াংশ ভোটে। স্থায়ী কমিটি এবং নির্বাহী কমিটির বিরোধ হলে, সেটা পরবর্তী সর্বচ্চো স্থায়ী কমিটিতে পাঠাতে পারবেন। একমাত্র স্থায়ী কমিটির সেক্রেটারি এবং নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট যৌথভাবে চেকে সই করতে পারেন।

নির্বাহী কমিটি

বাংলাদেশ কান্ট্রি নির্বাহী কমিটি, প্রতিটি জেলায় একটি করে, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে, প্রতিটি সিটি করপোরেশন একটি করে এবং প্রতিটি ইউনিটে একটি করে নির্বাহী কমিটি থাকবে। প্রধান হলেন প্রেসিডেন্ট। প্রতিবছর নীচের লেভেলের কমিটির ভোটে নির্বাচিত হন একবছরের জন্য। প্রেসিডেন্ট উপযুক্ত ভলান্টিয়ার থেকে সব কমিটি মেম্বার নিয়োগ দেন। সর্বোচ্চ কমিটি মেম্বার ১০। সমস্ত দৈনন্দিন কাজ এই কমিটি পরিচালনা করে। প্রেসিডেন্ট কমিটির সব বিষয়ে ভেটো দিতে পারবেন। বর্তমান নির্বাহী কমিটি মেম্বার বহিস্কার বা নতুন নির্বাহী কমিটি মেম্বার নিয়োগ করতে পারেন প্রেসিডেন্ট যেকোনো সময়। সেটা ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেক্রেটারিকে জানাতে হবে, তবেই সেটা কার্যকর হবে। একমাত্র স্থায়ী কমিটির সেক্রেটারি এবং নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট যৌথভাবে চেকে সই করতে পারেন।

কমিটির শ্রেণীবিভাগ এবং আয়ভাগ

ইউনিট কমিটি (স্থায়ী এবং নির্বাহী) জবাবদিহি করবে জেলা কমিটির কাছে, জেলা কমিটি রাজ্য কমিটির কাছে, রাজ্য কমিটি কান্ট্রি কমিটির কাছে, এবং কান্ট্রি কমিটি সুপ্রীম কমিটির কাছে।

মেম্বারশিপ ফি বা ডোনেশান বা অন্যান্য বাবদ যে আয় হবে, তার ৫০% শেয়ার পাবে তার উপরের কমিটি। যদি একটি ইউনিট মেম্বারশিপ ফি বাবদ ১০০ টাকা আয় করে, তবে ইউনিট নির্বাহী কমিটি নিজে পাবে ৫০ টাকা, আর ৫০ টাকা দেবে জেলা নির্বাহী কমিটিকে, জেলা নির্বাহী কমিটি নিজে ২৫ টাকা রেখে বাকী ২৫ টাকা দেবে রাজ্য নির্বাহী কমিটিকে, রাজ্য নির্বাহী কমিটি নিজে ১২.৫০ টাকা রেখে বাকী ১২.৫০ টাকা দেবে কান্ট্রি নির্বাহী কমিটিকে, কান্ট্রি নির্বাহী কমিটি নিজে ৬.২৫ টাকা রেখে বাকী ৬.২৫ টাকা দেবে সুপ্রীম কমিটিকে।

নির্বাহী কমিটি প্রেসিডেন্ট সেই কমিটির ভাগের টাকা খরচ করতে পারবেন কমিউনিটির উন্নতির লক্ষ্যে। তবে পুরনো বছরের আয় খরচ করতে গেলে, সংখ্যাগুরু স্থায়ী কমিটির সদস্যের অনুমোদন লাগবে। বছরশেষে সুপ্রীম কমিটি অডিট করাবে।

বাৎসরিক বাজেট

প্রতিবাছর জানুয়রীর ১ তারিখ, সব নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টরা ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। সব নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টদের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে নেওয়া হবে। এরপর তারা সর্বোচ্চ ১০ জন ভলান্টিয়ার নিয়ে নির্বাহী কমিটি গঠন করবেন। জানুয়ারীর ১ম সাপ্তাহে তারা ৫২ সাপ্তাহের বাজেট সংখ্যাগুরু স্থায়ী কমিটির সদস্যের মাধ্যেমে অনুমোদন করিয়ে নেবেন।

নতুন ইউনিট গঠন

সেসব জায়গায় সম্ভাবনা আছে নতুন ইউনিটের, তার জন্য সুপ্রীম প্রেসিডেন্ট স্থায়ী কমিটি গঠন করবেন এবং কমপক্ষে ৫ জন স্থায়ী সদস্য নিয়োগ করবেন ব্যক্তিগত রেফারেন্সের মাধ্যমে।

স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের ব্যক্তিগত পরিচয়ের মাধ্যমে নুন্যতম ১০০ জন ভলান্টিয়ার জোগাড় করবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্যরা স্থানীয় কমিউনিটির মানুষকে সংঘবদ্ধ করে সংখ্যাগুরু ভোটে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাহী কমিটি গঠন করবেন।

ভলান্টিয়াররা আগ্রহী দেবোত্তর সম্পত্তি ট্রাস্টের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে এবং এ বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করবে। ভলান্টিয়াররা স্থানীয় পর্যায়ে ইনভেস্টর জোগাড় করবে।

সুপ্রীম ট্রাস্ট জমি / বিল্ডিং দীর্ঘমেয়াদী লিজ নেবে দেবোত্তর ট্রাস্টের কাছ থেকে। সুপ্রীম ট্রাস্ট ইনভেস্টরের টাকা দিয়ে জমি ডেভেলাপ করে ব্যবসাযোগ্য করে তুলবে। সুপ্রীম ট্রাস্ট জায়গা অনুযায়ী জমিতে হোটে়ল, হোস্টেল, স্কুল, কোচিং সেন্টার, দোকান, পশুপালন এবং ক্ষুদ্রঋন চালু করবে। সুপ্রীম ট্রাস্ট স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ীদের ফ্রাঞ্চাইচি দিয়ে তাদের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করবে।

সুপ্রীম ট্রাস্ট সবার সঙ্গে আয় ভাগাভাগি করে নেবে।